কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তিন স্তরের নিরাপত্তা

আগামী ২ ও ৩ ডিসেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অনুষ্ঠিতব্য ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসসহ সবকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।comilla university

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতমধ্যে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিক সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসের গুরুত্তপূর্ণ স্থানগুলোতে ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এরই সাথে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে যেকোন প্রকার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে পরীক্ষাকেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বন প্রতিহত যেকোন ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করেছে ভর্তি পরীক্ষার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা উপ-কমিটি। কোন পরীক্ষার্থীকে মোবাইল ফোন, হেডফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়িসহ কোন প্রকার ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশ আনতে নিষেধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা উপ- কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ আইনুল হক জানান, ‘সকল প্রকার বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রস্তুত আছে। পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত আমরা সজাগ আছি। এছাড়াও পরীক্ষাকেন্দ্রে সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বহনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে পরীক্ষার্থীর উপর।’

পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টহল থাকবে প্রতিটি কেন্দ্রে। পরীক্ষায় যেকোন প্রকার অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে সাথে সাথে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।

পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নিরাপত্তা বিবেচনায় ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে আমরা পুলিশ মোতায়েন করেছি। এরই সাথে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় আমাদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতাকল্পে পুলিশ পাহাড়াসহ সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছি। আমি আশা রাখবো, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলোসহ সর্বোপরি সবাই নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে, সংযত থেকে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করবে।’

প্রসঙ্গত, এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদের অন্তর্ভূক্ত ১৯টি বিভাগের ১০৪০টি আসনে প্রতিযোগিতা করবে ৫৪,১২৯জন পরীক্ষার্থী। যেখানে আসন প্রতি লড়বে প্রায় ৫৩ জন।





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*