জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশার্থে এক বক্তব্যে বলেন, “বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরুণ শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ যে-ভাবে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে, নিরাপরাধ মানুষের প্রাণহানি ঘটাচ্ছে, দেশের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করছে, নিজেদের পরিবারের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনছে এবং সর্বোপরি, নিজেদের জীবন বিপন্ন করছে, তাতে সমগ্র দেশবাসীর সাথে আমরাও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের দেশের মানুষ শান্তি, সম্প্রীতি ও সহনশীলতার পক্ষে। হত্যা, খুন, সন্ত্রাস দ্বারা বাংলাদেশের সমাজ-রাষ্ট্রের মূলভিত্তিকে ধ্বংস করা কারো পক্ষে যে সম্ভব নয়, আমাদের ইতিহাস বার বার তা প্রমাণ দিয়েছে। অতএব নৈরাজ্য, নৈরাশ্য, অন্ধত্ব ও বিপথগামীতার পথ থেকে সুস্থ চিন্তা ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য আমি এসব তরুণদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকদের প্রতি শান্তি, সম্প্রীতি ও সুস্থ জীবন ধারার পক্ষে এবং সর্বপ্রকার সন্ত্রাসী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি উপাচার্যের কতিপয় করণীয় নির্দেশনা –
১. ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়মিত হাজিরা গ্রহণ।
২. যে-সব কলেজে আবাসিক হোস্টেল রয়েছে, সে সব হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের দৈনিক হাজিরা নিশ্চিত করা।
৩. প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের নজরদারি বৃদ্ধি করা।
৪. গরহাজির শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তাদের অভিভাবকদের কাছে প্রেরণ।
৫. সহপাঠ কার্যক্রম (ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক কর্মকা-) নিয়মিত অনুষ্ঠিত করা।
৬. এসব ব্যবস্থা নিশ্চিত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহকে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অবহিত করা।
৭. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহ কর্তৃক এসব পদক্ষেপের বাস্তবায়ন মনিটরিং করা।
৮. অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি এ বিষয়টির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টীম প্রেরণ।
Leave a Reply