বর্তমান বাংলাদেশে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন কলেজ ভার্সিটিতে ২৫ থেকে ৩০ টি বিষয়ে অনার্স – মাস্টার্স পড়ানো হয়। এই বিষয়গুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমান। অর্থাৎ এই বিষয়গুলো প্রত্যেকটিরই ক্ষেত্র আছে বাংলাদেশে। এঈ বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করে দেশের অর্থনীতি উন্নতি করার ব্যাপক ক্ষেত্র আছে বাংলাদেশে।
কিন্তু বর্তমান সরকারসহ আগে থেকেই সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরীর জন্য শুধুমাত্র বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা হয়ে আসছে। এতে কি প্রকৃত মূল্যায়ন করা গেল?
এর পরিপ্রেক্ষিতে কি হচ্ছে? সকল ছাত্র ছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার পর থেকে শুধু তোতা পাখির মত এগুলোই পড়ে আসছে। তারা অনার্স মাস্টার্স লেভেলেও কোন রকম গবেষণা ছাড়াই শুধুমাত্র একটি সার্টিফিকেট এর আশায় পড়াশুনা করে যাচ্ছে। অনার্স মাস্টার্স সে যে সাবজেক্ট এর উপরই করুক না কেন মূল পড়া হিসেবে সে ইংরেজী, বাংলা, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানকেই বেছে নিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে কি হচ্ছে? দেশ থেকে কোন স্পেসালিস্ট তৈরি হচ্ছে না, কোন বিজ্ঞানী তৈরি হবে না।
তাহলে আমরা যারা প্রানিবিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদবিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়গুলো পড়ে আসছি, এই পড়ার কি কোন মূল্যই নেই??? এটা আমার জিজ্ঞসা? সত্যিকার গবেষণা করতে গেলে, অবশ্যই এই সাবজেক্টগুলোর পড়াই আবশ্যক। আর যারা শুধুমাত্র চাকরি ও বিসিএস কে সামনে নিয়ে পড়ে তারা মূলত শুধু চাকরির উদ্দেশ্য নিয়ে পড়ে। এরাই পড়ে দূর্নীতি করে। আইন্সটাইন কোন এক ব্যাক্তির প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, “যে জিনিস বইয়ে খুজলে পাওয়া যায়, তা আমি মনে রেখে আমার সময় নষ্ট করতে চাই না। আমার গবেষণা করার অনেক বিষয় আছে।” উনার মত জ্ঞানী রা যা নিয়ে মাথা ঘামান নি আমরা বাংগালি তাই নিয়ে নিজেদের চিন্তা চেতনা নষ্ট করছি। সত্যিই আমরা হাজার বছর পিছনে পরে আছি।
আর তাই যদি সরকারের ইচ্ছা হয়, তবে দেশ থেকে বাংলা, ইংরেজি, গণিত বাদে বাকী সকল বিষয়ের অনার্স মাস্টার্স বন্ধ করে দিক। আর যদি দেশকে একটি সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে চায় তাহলে যে যে বিষয়ে অনার্স মাস্টার্স করে এসেছে তাকে সেই সমস্ত সেক্টরে চাকরি ও পরিক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।
মোঃ আমির হামজা,
বি এস সি অনার্স (জুওলজি), এম এস সি ( ফিসারিজ)
Leave a Reply