মালয়েশিয়ায় গড়ুন সুন্দর ভবিষ্যৎ
আপনি কি জীবনটাকে নতুনভাবে সাজাতে চান? পরিবার-পরিজন নিয়ে খুঁজছেন নতুন স্বপ্নের ঠিকানা? তবে আপনার সব আকাঙ্ক্ষা মেটাতে আজীবন মালয়েশিয়ায় বসবাস ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে প্রস্তুত ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালটেন্ট লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সাড়ে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ করেই মালয়েশিয়ায় আপনি পেতে পারেন ক্যাটাগরি-১ ভিসা। মালয়েশিয়াতে এখন অনেকেই নিচ্ছেন নাগরিকত্ব। ইউরোপের মতো জীবনমান হলেও এখানকার জীবনযাপন খরচ কিন্তু বাংলাদেশের তুলনায় খুব বেশি বলা যাবে না। বরং নিশ্চিন্ত জীবনের মূল্যমান চিন্তা করলে কমই বলতে হবে। এখানে শুধু শ্রমিকই নন, নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়ী শ্রেণিও রয়েছে বাংলাদেশিদের। টাইমস স্কয়ার, লয়েট প্লাজা, চায়না মার্কেট বা ওল্ড টাউনই শুধু নয় কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতান আর কোতোরায়াতে বেশ সুনামের সঙ্গেই ব্যবসা করে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা।
malaysia_visa ক্যাটাগরি-১ ভিসার সুবিধা: ক্যাটাগরি-১ ভিসাধারী প্রবাসীরা প্রায় মালয় নাগরিকের সমান সুবিধাই পাবেন। তাদেরকে মালয়েশিয়ায় ট্যাক্স পেয়ার সিটিজেন হিসেবে সন্মান করা হয়। এ ভিসাধারীরা মালয়েশিয়ায় নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই গাড়ি এবং বাড়ির জন্যে লোন নিতে পারবেন। সুতরাং সেখানে বাড়ি কেনার সুবিধাতো থাকছেই।
এ ভিসাধারী ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যেই পি. আর. (পারমানেন্ট রেসিডেন্স) এর আবেদন করতে পারবেন। আর ব্যাংক স্টেটম্যান্টসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ১০০ তে ৬৫ বা তার বেশি পয়েন্ট উঠাতে পারলে ভিসাধারী সহজেই পেয়ে যাবেন নাগরিকত্ব। যেভাবে পাবেন ক্যাটাগরি-১ ভিসা: প্রক্রিয়া খুবই সহজ। শুধুমাত্র জানার অভাব আর দালালের খপ্পরে না পড়লেই হলো। খোঁজখবর নিয়ে ভালো কনসালটেন্সি ফার্মের শরণাপন্ন হতে হবে। এক্ষেত্রে পরিচিত এবং অভিজ্ঞ কনসালটেন্ট অবশ্যই বাছাই করতে হবে। যা যা লাগবে: ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালটেন্ট লিমিটেড ফার্ম দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় শিক্ষিত বাংলাদেশি, উচ্চ প্রোফাইলধারী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের এ ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সেবা দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির চিফ কনসালট্যান্ট অ্যাডভোকেট রাজু জানান, ক্যাটাগরি-১ ভিসার আবেদন করার জন্যে নিজের স্বাক্ষরকৃত জীবনবৃত্তান্ত, শিক্ষাজীবনের সব সার্টিফিকেটের ফটোকপি, কাজের অভিজ্ঞতা, পরিবারের বিস্তারিত (স্ত্রী এবং সন্তানদের) বিবরণ জমা দিতে হবে। বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র স্নাতক সম্পন্নরাই এ ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবেন। সুতরায় স্নাতক সম্পন্ন করার সার্টিফিকেটের ফটোকপি অবশ্যই জমা দিতে হবে। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ৬ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। এছাড়াও পাসপোর্টের সব পাতার ফটোকপিও জমা দিতে হবে। স্থানীয় কমিশনারের স্বাক্ষরকৃত চারিত্রিক সনদপত্রও প্রয়োজন হবে। এছাড়াও দেশের ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্ট এবং স্থানীয় টেলিফোন বা কারেন্টের ইউটিলিটি বিল প্রয়োজন হবে বলে জানান তিনি।
ব্যবসায়ী রেসিডেন্স ভিসা: অ্যাডভোকেট রাজু বলেন, ব্যবসায়ী রেসিডেন্স ভিসার জন্যে কোম্পানি লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। এ লাইসেন্স পেতে প্রার্থীর নামে ট্যাক্সের রেজিস্ট্রেশন করে দিতে হয় কনসালটেন্ট ফার্মকে। অনুমোদিত কোম্পানির মাধ্যমেই সরকারি দফতর থেকে লোকাল কোম্পানির লাইসেন্স নিতে হবে। এছাড়াও ল-ইয়ার কোম্পানি এবং জয়েন্ট স্টোক কোম্পানির অ্যাপ্রোভালও নিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব থাকে ফার্মের ওপর।
malaysia_businessপ্রক্রিয়া সম্পন্নের সময়: সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কাগজপত্র ঠিক হয়ে গেলে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিস এজেন্টের মাধ্যমে প্রার্থীকে তলব করে। তখনই মালয়েশিয়া পৌঁছে ইমিগ্রেশনে যেতে হয় প্রার্থীকে। মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিসে ১ ঘণ্টার মধ্যেই ভিসা হাতে দেয়।
খরচ: ক্যাটাগরি-১ ভিসা পেতে একজন প্রার্থীকে ৫ লাখ টাকার মতো খরচ করতে হবে। বিজনেস রেসিডেন্স হলে সে ক্ষেত্রে ৭ লাখ টাকার মতো খরচ করতে হবে প্রার্থীকে।
এখানে দেশি-বিদেশি দালালদের খপ্পরে পরে সর্বস্ব হারাতেও হচ্ছে অনেক সময়। অসংখ্য দালাল এজেন্ট বিভিন্ন প্রার্থীর কাগজপত্র জাল করে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনে জমা দেওয়ার ফলে নিরীহ প্রার্থীদের নাম ও পাসপোর্ট নম্বর কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় তারা আর ভিসা পান না। তাই এজেন্টের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ভিসা প্রসেসিংয়ের বিষয়গুলো আগে জেনে নেওয়া ভালো।
Leave a Reply