২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা আর অল্প কিছুদিন এর মধ্যে শুরু হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এখনও কোন চুড়ান্ত নিউজ দেয়নি। তবে ক্রাশ প্রোগ্রাম অনুযায়ী আশা করা হচ্ছে ৩য় বর্ষের পরীক্ষার রুটিন যদি অপরিবর্তিত থাকে তাহলে ১৪-১৫ সেশন এর পরীক্ষা আগামী ফ্রেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে আরম্ভ হবে।
আর যদি ৩য় বর্ষের রুটিন পরিবর্তন করে পেছানো হয় তাহলে ১৪-১৫ এর পরীক্ষা মার্চ মাসে হবে এমন কি এপ্রিল মাসেও হওয়ার সম্ভবনা আছে। এছাড়া আরও শিক্ষাবর্ষের সমস্যা হবে যেমন অনার্স ২য় বর্ষ পরীক্ষা, ২য় বর্ষ (বিশেষ) পরীক্ষা, ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা এবং ডিগ্রি কোর্সের পরীক্ষার সমস্যা সৃষ্টি হবে।
সুতরাং জাবি কতৃপক্ষ ৩য় বর্ষের পরীক্ষা পেছাবে বলে মনে হয় না। যদিও পেছাই তাহলে ১০/১৫ দিন এর বেশি না।।।।। আর ৩য় বর্ষের ১০/১৫ দিন পেছানো মানেই বাকি সেশন গুলোর সামান্যতম অপেক্ষা।।।।। আমার মতে ৩য় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের লাইফের চিন্তা করে হলেও ১০/১৫ দিন সময় পিছিয়ে দেওয়া ভাল। কেননা অনেক ছাত্রছাত্রীদের লাইফ নষ্ট হতেও পারে। কারন ১৮ মাসের ৮ বিষয়ের লম্বা সিলেবাস ৭ মাসে কভার করা সম্ভব না। তার পরেও ক্লাস না করে, সুতরাং ১০/১৫ দিন পিছানো হলে কিছুটা হলেও সান্তনা পাবে। একটু পড়তে পারবে। তাদের কে মাথায় বোঝা চাপিয়ে দিলে তারা কখনও জাতিকে ভাল কিছু উপহার দিতে পারবে না।।।
তাই আমি মনে করি অনার্স ১ম, ২য়, ৪র্থ বর্ষ এবং ডিগ্রি পরীক্ষা প্রত্যেক সেশন এর ১০/১৫ টাইম নষ্ট হলে কোন সমস্যা হবে না। কারন এতদিন যেহেতু তারা অপেক্ষা করতে পেরেছে সুতরাং ৩য় বর্ষের অসহায় ভাই বোনদের মুখের দিকে তাকিয়ে আর ১০/১৫ টা দিন সহ্য করতে পারবে বলে আমি মনে করি।।।।।। কিন্তু ১০/১৫ দিন এর অধিক সময় দেওয়া মোটেই ঠিক হবে না। কারন ৩য় বর্ষের দাবি ২/৩ মাস পেছানো ( আকাশের চাঁদ ধরার সমান)। ২/৩ মাস পেছালে বাকি সব সেশন গুলো অনেক বেশি বিপাকে পড়বে।।।।
সুতরাং সবার কথা চিন্তা ভাবনা করেই জাবি চুড়ান্ত সিন্ধান্ত নিবেন বলে আশা করি।।।।।।। সবারই যেন সুবিধা হয় তেমন সিদ্ধান্ত আমি আশা করি। কাউকে বিপাকে ফেলে নয়। একতাই জয় হয়।।।।
নাঈমুর রহমান দুর্জয়
সরকারি বাঙলা কলেজ, মিরপুর, ঢাকা
Leave a Reply