অটিসটিকের মত প্রতিবন্ধকতার কথা আমরা অনেকেই জানি।তবে এর কারণ বা চিকিৎসা কি তার কোন সঠিক ধারণা কারো জানা নেই।তবে সম্প্রতি ব্রিটিশ এক মনোবিজ্ঞানী বলছেন তার কাছে এর উত্তর রয়েছে।তার মতে,যে পরিবারের মা এবং বাবা দু’জনই বিজ্ঞানের কোন বিষয়ে কাজের সাথে সম্পৃক্ত অথবা টেকনোলজির কোন ক্ষেত্রে কাজ করছেন এমন পরিবারের সন্তানদের অটিজম হওয়ার আশংকা বেশি।
সেদিক বিবেচনা করলে হয়ত ক্ষতিয়ে দেখা যাবে গবেষণাটি কতটা যুক্তিযুক্ত।কথা যাই হোক আমাদের আসল বিষয়টি হচ্ছে পৃথিবীর কয়েকজন বিখ্যাত মানুষকে নিয়ে।যারা ছিলেন অটিসটিকে আক্রান্ত।শুনলে আমরা অবাক হব।তাদের অনেক কেই আমরা বেশ ভালভাবে চিনি।কিন্তু তাদের এই দিকটি আমাদের কাছে সম্পূর্ণই অজানা ছিল।আসুন জেনে নেই তারা কারা।
আলবার্ট আইনস্টাইনঃ
বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন।জন্ম ১৮৭৯ সালে আর মৃত্যু ১৯৫৫ সালে।আইনস্টাইন ছিলেন আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক।অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন আইনস্টাইনের এস্পারজার’স সিনড্রোম ছিল যা এক প্রকার অটিসটিক ডিসঅর্ডার।তবে এটি সাধারণত খুব হালকা ধরণের প্রতিবন্ধকতা।ছোটবেলার আইনস্টাইন শিশু হিসেবে একাকীত্বে থাকতেন।তার ৭ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি একি কথা বার বার করে বলতেন।তিনি মানুষের ভিড়ে যেতে ও তাদের সাথে মিশতে পছন্দ করতেন না।
আইজাক নিউটনঃ
ইংলিশ বিজ্ঞানী,স্যার আইজাক নিউটন।তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৬৪৩ সালে আর মৃত্যু হয়েছিল ১৭২৭ সালে।অটিজম বিশেষজ্ঞদের মতে তাঁর মধ্যে কিছু সংকেত দেখা গিয়েছে অটিসটিকের।এমন সময়ও ছিল যখন নিউটন এক নাগারে তিন দিন কাজ করে গেছেন কোন প্রকার বিরতি না নিয়ে।তিনি তাঁর কাজে এতই ডুবে থাকতেন যে মাঝে মাঝে ভুলে যেতেন খাওয়া-দাওয়ার কথাও।আরো কিছু তথ্য পাওয়া গেছে যা থেকে জানা গেছে নিউটন নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে কথা বলতেন না।কাউকে না পেলে খালি ঘরে একা একাই উপদেশ বাণী দিতেন বা কথা বলে যেতেন আপন মনেই।তাঁর ৫০ বছর বয়সে নিউটন স্নায়ুবৈকল্যে ভুগেছেন।
ভিনসেন্ট ভ্যান গগঃ
ভিনসেন্ট ভ্যান গগ ছিলেন একজন ডাচ চিত্রকর।জন্ম ১৮৫৩ সালে আর মৃত্যু ১৮৯০ সালে।ইতিহাসে ধারণা করা হয় তার এসপারজার’স ছিল।শিশুকালে তার আচরণগত সমস্যা ছিল।অন্যদের সাথে সামাজীক চালচলনকে তিনি কঠিন মনে করতেন।তাঁর মানসিক অসুস্থতা যা অটিজমের সাথে তুলনা করা চলে প্রমাণ করে তাঁর আত্মহত্যার কারণ হিসেবে।আরো জানা যায় ভ্যান গগ স্কুল জীবনের সাথে নিজেকে মানিয়ে চলতে প্রেননি বলেই তিনি লেখাপড়া ছেড়ে দেন আর প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় একাকী কাজে ডুবে যান।
চার্লস ডারউইনঃ
চার্লস ডারউইন ছিলেন একজন প্রকৃতিবাদী ও লেখক।তিনি তাঁর কাজে খুব প্রবলভাবে অভিনিবেশ করতেন।সাইকিয়াট্রি মাইকেল ফিজগারল্ড বলেন,ডারউইন খুব সুক্ষভাবে কোন কিছু বিচক্ষণের ক্ষমতা রাখতেন তবে সামাজীকভাবে মিশতে পারতেন না।এর বদলে তিনি চিঠি লিখতে পছন্দ করতেন আর একা একা হেটে বেড়াতে পছন্দ করতেন।তার জীবনের প্রধান কাজ ছিল জিনিষপত্র সংগ্রহ করে বেড়ানো।এসবই অটিজমের লক্ষণ।
মূল লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
আশা করি লেখাটি পড়ে সবার ভাল লাগবে, ভাল লাগলে আমাদের সাথে থাকুন
Leave a Reply