ভালো রেজাল্ট এর কিছু টিপস

১- খাতা পাওয়ার পর করণীয় –
ক – পরিক্ষার হলে খাতা পাওয়ার পর নাম , রোল , শ্রেণী ইত্যাদি নির্ভূল ভাবে লিখতে হবে।
খ – খাতার প্রতি প্রিষ্ঠায় বাম পাশে ও উপরে এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা ফাকা রেখে মার্জিন টানতে হবে।
গ – প্রতি পৃষ্ঠার উপরে বা নিচে ক্রমিক নম্বর ও ধারাবাহিক ভাবে বসানো যেতে পারে। এতে খাতার সৌন্দর্য বাড়ে।
২- উত্তর লেখার নিয়ম –
ক – ধারাবাহিক ভাবে সকল প্রশ্নের উত্তর লেখা উত্তম। তবে যদি সকল প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকে, যেটা ভালো জানা থাকবে তার উত্তর আগে লিখবে। যে প্রশ্নের উত্তর ভাল ভাবে জানা নেই, সেটা সব শেষে লিখতে হবে।
খ – বড় প্রশ্নের উত্তর যেখানে শেষ হবে, ঐ পাতায় অন্য প্রশ্নের উত্তর না লেখা উত্তম। তবে, ছোট প্রশ্নের ক্ষেত্রে যদি জায়গা থাকে, আর উত্তর লিখলে যদি পৃষ্ঠার সৌন্দর্য নষ্ট না হয়, তবে আরেকটি প্রশ্নের উত্তর লেখা যেতে পারে।
গ – একটা প্রশ্নের উত্তর লেখা সম্পূর্ণ শেষ করে নিচে একটি সরল দাগ দিয়ে প্রশ্নের উত্তর সমাপ্ত বোঝানো উচিত।
ঘ – যদি একই পৃষ্ঠায় একাধিক প্রশ্নের উত্তর লেখতে হয়, তবে দু’আঙ্গুল ফাঁকা রেখে অন্য প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করতে হবে।
ঙ – সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় অবশ্যই সাব নাম্বার গুলোর উত্তর ধারাবাহিক ভাবে লিখতে হবে । যেমন , ক এর উত্তর এর পর খ এর উত্তর। বাকি প্রশ্ন গুলো ও এভাবে ধারাবাহিক ভাবে লিখতে হবে।
চ – প্রশ্নের নম্বর পৃষ্ঠার মাঝামাঝি তে লেখা উচিত। মার্জিন এর বাহিরে লেখা ঠিক নয়।
ছ – প্রশ্নের উত্তর শুদ্ধ ও সহজ ভাষায় লিখতে হবে।
জ – একই রীতিতে লিখতে হবে। অর্থাৎ , সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ করা যাবেনা।
ঝ – সময় ভাগ ভাগ করে লিখতে হবে।
৩– খাতা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা –
ক – পরিক্ষার খাতাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।
খ – খাতা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হলে, পরিক্ষকের মন জয় করা সহজ হয়, যা অধিক নম্বর প্রাপ্তিতে সহায়তা করে।
গ – খাতা পরিষ্কার রাখতে হলে, কাটাকাটি করা যাবেনা।
ঘ – ওভার-রাইটিং করা যাবেনা।
ঙ – কোনো শব্দের বানান ভুল হলে, শুধুমাত্র একটি টান দিয়ে কেটে ফেলতে হবে।

কৃতজ্ঞতায়ঃ সৈয়দ মিশকাতুর রহমান





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*