শ্রেণি- ষষ্ঠ, বিষয়- ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
পূর্ণমান-৬০, সময়- ২ ঘন্টা ১০ মিনিট।
[ডান পাশে প্রশ্নের পূর্ণমান জ্ঞাপক, যে কোন ৬টি প্রশ্নের উত্তর দাও]
০১। সালাম বিশ্বাস করে যে নিজের প্রচেষ্টায় ব্যবসায়ে উন্নতি সম্বব। এক্ষেত্রে ভাগ্য বলে কিছু নেই। অন্যদিকে, তারই প্রতিবেশী ইনকিয়াদ সাহেব সবার কাছে স্বীকার করেন যে, আল্লাহ পাকের ইচ্ছাতেই তিনি আজ শহরের অন্যতম ধনীলোক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।
ক. আকাইদ কী? ১
খ. দুনিয়া সম্পর্কে একটি হাদিস ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সালাম সাহেবের ধারণা কেন সঠিক নয়- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ইনকিয়াদ সাহেব উপযুক্ত ধারণা পোষণ করেন- যুক্তি দাও। ৪
০২। ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রা) এর আমলে তুলাইহা নামক একজন ব্যক্তি মিথ্যা নবুওয়্যাতের দাবি করে। এ প্রসঙ্গে আলাচনার এক পর্যায়ে আশরাফ তার বাবার কাছে জানতে চাইল, আমরা রিসালাতে বিশ্বাস করব কেন? আশরাফের বাবা বললেন, ইমানের সাতটি মৌলিক বিষয়ের মধ্যে রিসালাতে বিশ্বাস তৃতীয়। রিাসালাতে বিশ্বাস না করলে কোনো বিশ্বাসই পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয় না। রিসালাতের বিশ্বাস না করলে আমাদের ইমান থাকবে না।
ক. রিসালাত কী? ১
খ. নবি-রাসুল বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. একজন মুসলমান হিসেবে আল্লাহর দীন প্রকার করার জন্য আশরাফের কী কী গুণ থাকা দরকার? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে আশরাফের বাবা বলেন, “রিসালাতে বিশ্বাস না করলে আমাদের ইমান থাকবে না।” উক্তিটি
আলোচনা কর। ৪
০৩। আজম সাহেব ব্যবসায় করেন। তিনি যেহেতু আখিরাতে বিশ্বাস করেন, সেহেতু তিনি কাউকে ঠকান না, প্রতারণা করেন না। তিনি জানেন প্রতারণা করলে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।
ক. করব কী? ১
খ. আখিরাতের পর্যায় কয়টি ও কী কী? ২
গ. আজম সাহেবের আখিরাতে বিশ্বাসের ফলাফল ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আখিরাতের কোন পর্যায়ে পাপপুণ্যের হিসাব হবে? তা সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর। ৪
০৪। ষষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহেল নিয়মিত কুরআন হাদিস ও ইসলামি সাহিত্য বিষয়ক বইপত্র পড়ে ইসলাম বিষয়ক শিক্ষা গ্রহণের ফলে সোহেল বুঝতে পারে ’’ উত্তম চরিত্র মানুষের জীবনকে সুন্দর করে। চরিত্র খারাপ হলে মানুষের সাথে শয়তান ও পশুর কোনো পার্থক্য থাকে না।” এ উপলদ্ধি থেকে সোহেল নিজেকে চরিত্রবান করে গড়ে তুলেছে। সমাজের সকল মানুষ সোহেলকে ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে।
ক. আখলাক শব্দের অর্থ কী? ১
খ. সমাজের সকল মানুষ ভালোবাসে কেন? ২
গ. উদাহরণ হিসেবে গ্রহণ করে তুমি কী কী কাজ করবে এবং কী কী কাজ বর্জন করবে তার একটি তালিকা
তৈরি কর। ৩
ঘ. “উত্তম চরিত্র মানুষের জীবনকে সুন্দর ও উন্নত করে।” উক্তিটির তাৎপর্য বর্ণনা কর। ৪
০৫। মিতা প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে। একদিন তার মিথ্যাচারিতা প্রমাণিত হওয়ার পর তার বড় বোন তাকে এই বলে উপদেশ দেয় যে, প্রকৃত মুমিন-মুসলিম হতে হলে আমাদেরকে সত্যবাদিতার অনুশীলন করতে হবে। সত্যবাদিতা মন্দ থেকে বাঁচিয়ে রাখে। দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা এনে দেয়। মিতার বোন মিতাকে সত্যবাদিতা সম্পর্কে বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী (র) এর জীবনের একটি তাৎপর্যময় ঘটনা শোনান। এরপর মিতা সদা সত্য কথা বলার প্রতিশ্রুতি দেয়।
ক. সত্যবাদিতা কী? ১
খ. মুমিন-মুসলিম হতে হলে সত্যবাদিতার অনুশীলন করতে হবে কেন? ২
গ. সত্যবাদিতা সম্পর্কে বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (র) এর জীবনের ঘটনাটি মিতার জীবনে কীরুপ প্রভাব
ফেলতে পারে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মানবজীবনে সত্যবাদিতার গুরুত্ব আলোচনা কর। ৪
৬। ইরানের বুস্তান নগরীতে একজন মাতা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক সন্ধ্যায় মা তাঁর পুত্রকে ডেকে একটু খাবার পানি দিতে বললেন। পুত্র গ্লাসে পানি নিয়ে রুগ্ন মায়ের কাছে এসে দেখল, মা ইতোমধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছেন। পুত্র মাকে ঘুমন্ত দেখে ঘুম থেকে ডেকে উঠালে তাঁর কষ্ট হবে মনে করে আর ডাকল না। ভাবল, মা যখন আবার জাগাবেন তখন তাঁকে পানি খাওয়ার। সে ভাবল, যদি ঘুমিয়ে যাই মা জেগে উঠলে পানি দিতে দেরি হয়ে যাবে। মা কষ্ট পাবেন। সে আর ঘুমাল না। সারা রাত পানির গ্লাস হাতে মায়ের শিয়রে দাঁড়িয়ে থাকল।
ক. আল্লাহর পরে সন্তানের ওপর কাদের অধিকার সবচেয়ে বেশি? ১
খ. পিতামাতার অধিকার বলতে কী বোঝায়? ২
গ. হযরত বায়যীদ বুস্তামী (র) এর দৃষ্টন্ত অনুসরণ করে পিতামাতার জীবদ্দশায় তুমি কীভাবে তাঁদের অধিকার
সংরক্ষণ করবে? ৩
ঘ. মৃত্যু পরবর্তী সময়ে পিতামাতার প্রতি আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য বিশ্লেষণ কর। ৪
৭। মাসুম ও মহসিন হযরত মুহাম্মদ (স) এর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করছিল। মাসুম হযরত মুহাম্মদ (স)- এর আবির্ভাবকালীন আরবের অবস্থা বর্ণনা করে তাঁর শৈশব সম্পর্কে আলোচনা করল। মহসিন মুহাম্মদ (স)- এর বিবাহ ও নবুওয্যাত লাভের ঘটনাটি বর্ণনা করল। আলোচনা শেষে তারা একমত হল যে, মুহাম্মদ (স) ছিলেন সমগ্র মানবজাতির আদর্শ। আমরা তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণ করব।
ক. হযরত মুহাম্মদ (স) কখন জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. মুহাম্মদ (স)- এর জন্মের পূর্ববর্তী সময়কে আইয়্যামে জাহেলিয়া বলা হয় কেন? ২
গ. মুহাম্মদ (স)- এর শৈশব মাসুম ও মহসীনের জীবনে কীরুপ প্রভাব ফেলবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মাসুম ও মহসিন একমত যে, “মুহাম্মদ (স) সমগ্র মানবজাতির আদর্শ।”- উক্তিটির তাৎপর্য মূল্যায়ন কর। ৪
৮। দুলাল মুন্সী ছিলেন যৌথ পরিবারটির সব বিষয়ের নিয়ন্ত্রক এবং তার বুদ্ধি ও পরিশ্রমে পরিবারটি এখনও সুনাম বজায় রেখেছে। কিন্তু তার হঠাৎ মৃত্যু একদিকে যেমন শোকের ছায়া নেমে এসেছে তেমনি যৌথ পরিবারটির নেতৃত্ব নিয়ে পরস্পর দ্বন্দ্ব লিপ্ত হয়। অবশেষে বয়োজোষ্ঠ জাফর মুন্সী পরিবারের নেতৃত্ব গ্রহণ করে পারিবারিক দ্বন্দ্ব দূর করে সুনাম অক্ষুণœ রাখতে সচেষ্ট হন।
ক. ইসলামের প্রথম খলিফা কে? ১
খ. হযরত মুহম্মদ (স) এর সঙ্গে হযরত আবু বকর (রা) এর বন্ধুত্ব কেন গভীর ছিল- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জাফর মুন্সীর কাজের সঙ্গে ইসলামের প্রথম খলিফার কর্মকান্ড কতটুকুসাদৃশ্যপূর্ণ- আলোচনা কর। ৩
ঘ. জাফর মুন্সীর ন্যায় ইসলামের প্রথম খলিফা ও যোগ্যতা বিচারে ছিলেনঅগ্রবর্তী- বিশ্লেষণ কর। ৪
৯। হযরত আলী (রা) কুরআন, হাদিস ও ব্যাকরণে ছিলেন অসাধারণ পন্ডিত। রাসুল (স) বলেন, ‘আমি জ্ঞানের শহর আল আলী তার দরজা।’ হযরত আলী (রা) জাঁকজমক পছন্দ করতেন না, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি জীবনযাপন করতেন। তিনি তাঁর বীরত্বের জন্য আসাদুল্লাহ উপাধি পেয়েছিলেন।
ক. হযরত আলী (রা) কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. রাসুল (স) আলী (রা) কে আসাদুল্লাহ উপাধি দিয়েছিলেন কেন? ২
গ. হযরত আলী (রা) এর অনাড়ম্বর ও কঠোর পরিশ্রমী জীবন থেকে তুমি কী শিক্ষা লাভ কর- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে আলী (রা) এর অনাড়ম্বর জীবন সম্পর্কে আলোচনা কর। ৪
Leave a Reply