শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে লার্নিং আই

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করতে এবং প্রযুক্তির যথোপযোক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে লার্নিং আই।Learning Eye

তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে পুরো বিশ্ব এখন রকেট গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে৷ আর বিশ্বায়নের এই চেল্যাঞ্জ মোকাবেলায় সমগ্র পৃথিবী এখন ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করছে৷ আর প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে জাতী হিসেবে এখন আমরাও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে এগিয়ে গেছি আরো এক কাতার সমানে যা গোটা দুনিয়া প্রত্যক্ষ করেছে৷

তারুণ্য নির্ভর ঢাকা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান লার্নিং আইয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা৷ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে বাধ্যতামূলক ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরী ও হালনাগাদসহ এডুকেশন ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম (ই এম এস) চালু করার কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি৷

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় এক অভুতপূর্ব পরিবর্তন আনবে লার্নিং আইয়ের এডুকেশন ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম৷ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিবাবক এই তিন অনুষঙ্গের নিকট তথ্য উপাত্ত সহজে ও দ্রুততার সহিত পৌঁছানোর সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করবে সিস্টেমটি৷ ক্লাউড সার্ভার ভিত্তিক উক্ত সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একদিকে যেমন কাগজের ব্যবহার কমে আসবে তেমনি কমে আসবে তথ্য হারানোর ঝুকি৷ বছরের পর বছর সংরক্ষণ করে রাখা যাবে প্রতিষ্ঠানের সকল কাজের রেকর্ড৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ এর মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট পিতামাতাদের তথ্য সংরক্ষণ থেকে নিয়ে, অনলাইন পেম্যান্ট রিসিভ, অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া, নোটিশ প্রদানসহ লাইব্রেরী, হোস্টেল, স্কুলবাস ব্যবস্থাপনা সবই করতে পারবেন৷ লার্নিং আইয়ের ই এম এস ব্যবহারে পিতামাতার দুঃশ্চিন্তাও কমে আসবে এখন থেকে৷ ঘরে বসে বা অফিস থেকেই তারা তাদের ছেলে মেয়ের স্কুল উপস্থিতি, হোম ওয়ার্ক, পরীক্ষার ফলাফল, ছুটির নোটিসহ প্রাতিষ্ঠানিক সবকিছুই জানতে পারবে এস এম এসের মাধ্যমে৷ আর এ জন্য তাদের কম্পিউটার ও ইন্টারনেটে পারদর্শী হবার দরকার নেই৷ শিক্ষার্থীরাও এ থেকে ব্যাপক উপকৃত হবে৷ তারা তাদের প্রতিদিনের ক্লাস নোট, এসাইনম্যান্টসহ সবকিছুই ক্লাস শেষে প্রয়োজনে বাসায় বসেই দেখে নিতে পারবে৷ এছাড়াও অধিকতর জ্ঞান লাভের জন্য ই-লিব্রেরী, ভার্চুয়্যাল ল্যাব এবং লার্নিং আইয়ের ব্লগতো থাকছেই৷ সেখান থেকে তারা তাদের প্রয়োজনীয় বই পড়া ও ডাউনলোড করে নিতে পারবে শুধু একটি মাত্র ক্লিকের মাধ্যমে৷

প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান বলেন ” আমাদের দেশে ইংরেজী মাধ্যমও কিন্ডারগার্ডেনসহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷ এদের মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আমদানি নির্ভর এডুকেশন ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম ব্যবহার করছে যা খুবই ব্যয় বহুল এবং অধিকাংশের পক্ষেই এর ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব না ৷ আমাদের লক্ষ হচ্ছে গ্রাম পর্যায় থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন এই ধরণের সফটওয়্যার ব্যবহারের সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করা৷ চাইনা আর একটি তথ্যও হারিয়ে যাক বিদ্যালয়গুলো থেকে৷ আমরা হতে চাই শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বাবা-মায়ের মধ্যে যোগাযোগের এক নতুন ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম৷ সেই লক্ষেই আপনাদের পাশে থাকবে টিম লার্নিং আই৷ সকলের সহযোগীতা নিয়ে আমরাই গড়ব নতুন দিনের ডিজিটাল বাংলাদেশ৷”

লার্নিং আইয়ের কার্যক্রম ও সেবা সমপর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুণ: www.learningeye.org





About লেখাপড়া বিডি ডেস্ক 1526 Articles
লেখাপড়া বিডি বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিউনিটি ব্লগ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*