জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের যে নতুন খেলায় মেতে উঠেছে তা সহ্য করার মত না। সিলেবাসের রঙিন কাঠামো দিয়ে যখন সাজানো হয় সিলেবাস তখন কি আর কথা বলা যায়? সিলেবাস তখন কি আর কথা বলা যায়?
সিলেবাস ভূক্ত বিষয়ের স্যার কলেজে বিদ্যমান কিনা তাও ভাবার সময়টুকু জাতয়ি বিশ্ববিদ্যালয় হয় না। আমরা তা ছাত্র আর ছাত্রের চরম সত্য দ্রুবসত্য হল বই থেকে কিছু শিখার কিন্তু আজ ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রদের বই থেকে তো শিক্ষা দূরের কথা !!
ভাল লেখখের বই পর্যন্ত বাজারে অনুপস্থিত। যেখানে আমরা কি আয়ত্ব করবো? ছাত্রদের হাতে বই পৌঁছল কিনা, তাদের এই সীমিত সময়ে বইগুলো আয়ত্ব করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে কোন গবেষণা করার সময় বোধ হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই।
“একটি রুটিন হাতে ধরিয়ে দিলেই” কর্তাবাবুর সুনাম অক্ষুন্ন থাকবে। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে লেখাপড়া করি, তাদের প্রণীত সিলেবাসের কাঠামোতে আমরা পড়া লেখা চালিয়ে যাচ্ছে অথচ ২০০৯-১০ সেশনের ৪র্থ বর্ষের ২৫ জুন ২০১৫ তারিখ থেকে পরীক্ষার সময় সূচী ঘোষণা করা হল। এখন এই ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্ররা কি করবে ?
পরীক্ষার খাতায় অদ্ভুদ ঘোড়ার ডিমের কাল্পনিক বৈশিষ্ট্য ব্যতিত আর কি লিখব ? হয়ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময়সূচেতে পরীক্ষা নিয়ে নিজের কর্তৃত্ব আর ভিশন পূরণ করতে গিয়ে ২০০৯-১০ শিক্ষবর্ষের বিশাল অসহায় ছাত্রদের জীবন লি দিতে হবে।
ইম্প্রুভমেন্টের চির চেনা গাড়ীর বোঝা টানতে হবে। যেই সময় ৪র্থ বর্ষের সমাপ্তিলগ্নে চাকরি বাজারে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করতে হবে। তখন ইম্প্র“ভমেন্টের আর ফর্মফিলাপে ঝামেলা পুহাতে হবে এই হতভাগা ২০০৯-১০ সেশনের ছাত্রদের।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগুলেশন পদ্ধতি আর গ্রেডিংয়ের নতুনত্ব বড়ই চমৎকার কিন্তু আজ যদি ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থীদের ২৫ জুন থেকে পরীক্ষা নেওয়া হয় তবে এই চমৎকার পদ্ধতি আমাদের কাছে বেশ বিষপূর্ণ আবহাওয়ার গ্লানি মনে হবে। অনেক কঠিন বই এখনো বাজারে আসেনি, কি করে ২০/২৫ দিন সময়ের মধ্যে এত বিশাল সিলেবাসভূক্ত বইয়ের পাঠদান শেষ হবে।
আশানুরূপ পরীক্ষার অনুপস্থিততে কি আমাদের হত দরিদ্র মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারবে ? শিক্ষা জীবনের এই ইতিলগ্নে আমাদেরকে একটু রক্ষা করুন। রুটিন পরিবর্তন করে কিছুদিন পরে নেওয়া হউক যাতে মোটামুটি পরীক্ষায় লেখার অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়।
আপনারা চাইলে সব পারেন দয়াকরে আমাদের রঙিন আর স্বপ্নিল স্বপ্নকে ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিবেন না। ২৫ জুনের পরিবর্তে কিছু দিন পরে পরীক্ষাটা নেন।
তারপর এই মুসলিম দেশে যেখানে সংখ্যাগরিষ্ট লোক মুসলমান সেখানে রমযান মাসে পরীক্ষা!! রমযানে পরীক্ষা যাতে না হয় তাও বিবেচনায় আনা প্রয়োজন বলে আমি করি।
জা.বি বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা জানানো যাচ্ছে রমজান মাসে অনার্স 4th পরীক্ষা স্থগিত করা হক সবাই একমত
সামনে রমযান মাস তথা বই বাজারে আসতে অনেক দেরি হয়েছে,তাই ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা ১মাস পেছানো হোক।এই আমার দাবি।